Monday, December 23, 2019
Tuesday, September 17, 2019
Footcare Hospital Address and contact No.
ইব্রাহিম ডায়াবেটিক ফুটকেয়ার হাসপাতাল, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, Ibrahim Diabetic Foot care Hospital
ন্যাশনাল হেলথকেয়ার নেটওয়ার্ক
ইব্রাহিম ডায়াবেটিক ফুটকেয়ার
হাসপাতাল, ওয়ারী
৪/১ র্র্যাংকিন স্ট্রিট, ওয়ারী
ফোন: 9512020 মোবাইল নং ০১৮৮৮০৫৭৬৭৬
০২ ৯৫১২০২০, 47115410 এক্সটেনশন ১৩৫,১৩৬, ১৩৩
এনএইচএন এক্সিকিউটিভ সেন্টার,
শান্তিনগর
৩০ চামেলিবাগ, শান্তিনগর,
ঢাকা- ১২১৭, ফোন : ৮৩২১২০৭, ০১৫৫৪০৩১৮২৪
ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর
প্লট নং ২৭-২৮, মেইন রোড-১,
সেকশন-৬, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬, ফোন: 02 47115410 হটলাইন: 02 9512020 Ext: 100. 101. 121
ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল ধানমন্ডি
ও ডিসিইসি
বাড়ি
নং-৪২, রোড ১০/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা ১২০৯, ফোন: ৯১৪৬৩৫৭
শহীদ খালেক-ইব্রাহিম জেনারেল
হাসপাতাল, ওয়ারী
৪/১ র্যাংকিন স্ট্রিট, ওয়ারী ফোন: ৪৭১১৫৪১০ এক্সটেনশন ১০০, ১০১
সুবর্না-ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল,
চন্দ্রা,
কালিয়াকৈর, গাজীপুর ফোন: ০৬৮২২-৫১৯১৯
এনএইচএন শ্যামলি কেন্দ্র
৩/ক
পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ ফোন: ৯১৪৬০০৫
এমপিএল-ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল,
মেঘনাঘাট
সোনাখালী,
নারায়নগঞ্জ। ফোন: ০১৭১১-১৫৯৪২০
৪৬০০৫
এনএইচএন ফরাসগঞ্জ কেন্দ্র
মঈনুদ্দিন
চৌধুরী মেমোরিয়াল হল (লালকুঠি)
এনএইচএন ওয়ারী কেন্দ্র
২৫
টিপুসুলতান রোড, ওয়ারী ঢাকা-১২০৩ ফোন: ৭১২১৯২৭
এনএইচএন নবাবগার্ডেন কেন্দ্র
হোসনিদালান
নাহিমুদ্দিন রোড, ঢাকা ১০০০ ফোন: ৭৩০১৪২৪
এনএইচএন বসুন্ধরা কেন্দ্র
প্লট
# ৯৭/এ, ব্লক-আই, বসুন্ধরা, বারিধারা ঢাকা
এনএইচএন ঘোড়াশাল কেন্দ্র
রোটারী হাসিনা নুর মোহসিন
মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হাসপাতাল, ঘোড়াশাল, নরসিংদী
খায়রুন্নেছা মেডিকেল কলেজ ও
হাসপাতাল, কুমিল্লা (প্রস্তাবিত)
বিষ্ঞুপুর,
মুণ্সেফকোয়ার্টার, কুমিল্লা। ফোন: ০৪১-৭৬৯১১
আতাউল তাহেরুন-ইব্রাহিম বিশেষায়িত
হাসপাতাল ও শান্তি নিবাস (বৃদ্ধাশ্রম)
বন্দর
নারায়নগঞ্জ । ফোন: ০১৮১৯-৪৯৫৪২২
ফয়জুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এন্ড
হাসপাতাল ও রজিয়া খানম গ্রাজুয়েট নার্সিং কলেজ
খাগান, বিরুলিয়া, সাভার,
ফোন: ০১১৯৭-৩৫০৮৬৭
১৮১৯-৪৯৫৪২২
সায়মা ইব্রাহিম নার্সিং কলেজ ও
ইনস্টিটিউট
শফিপুর, গাজিপুর, ফোন:
০১৭১১-১১৬১৪৯
শাহেদা-গফুর ইব্রাহিম জেনারেল
হাসপাতাল
Wednesday, March 13, 2019
ডায়াবিটিক অথচ পায়ের যত্ন নিচ্ছেন না, কী ক্ষতি করছেন জানেন?
ঠিক যে ভাবে ত্বকের যত্ন নেন, ডায়াবিটিস
থাকলে সে ভাবেই পায়ের যত্ন নিতে হবে৷ কারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মাত্র
১০ বছরেই স্নায়ু কমজোর হয়ে পায়ের সাড় কমে যেতে পারে, যাকে বলে ডায়াবিটিক
নিউরোপ্যাথি৷
এই কম সাড়ওয়ালা পা কেটে–ছড়ে গেলে বা ঘা হলে তা সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন৷ বাড়াবাড়ি হলে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে৷ কাজেই মূল রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি পায়ের যত্ন করা দরকার৷ কী ভাবে করবেন, দেখে নিন৷
পায়ের যত্নবাইরে থেকে ফিরে পায়ের তলা পরীক্ষা করে দেখুন৷ কোনও রকম কাটা-ছড়া বা প্রদাহ দেখতে পাচ্ছেন কি না দেখুন। নিজে না পারলে বাড়ির কাউকে বলুন৷ পায়ের নীচে ছোট আয়না ধরেও দেখতে পারেন৷ শোওয়ার আগে হালকা গরম জল ও শ্যাম্পু দিয়ে পা পরিষ্কার করে, শুকনো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান৷ আঙুলের খাঁজ যেন শুকনো থাকে৷ পায়ের তলা ঘামার ধাত থাকলে আঙুলের খাঁজে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন না৷
ঠিক মাপের জুতো পরুন৷ না হলে ফোস্কা পড়তে পারে৷ বিকেলের দিকে পা ফুলে যায় বলে জুতো ওই সময়ই কিনুন৷ সকালে কিনলে বিকেলে ওই জুতো পায়ে টাইট হবে৷
মনে রাখুন কিছু বাড়তি সতর্কতা
পার্লারের যন্ত্রপাতি পরিশোধিত না হলে বা যিনি করবেন তাঁর ট্রেনিং না থাকলে কিছু সমস্যা হতে পারে৷ তাই লক্ষ্য রাখুন সে সব দিকেও। পায়ের কড়া বা শক্ত চামড়া গরম জলে ভিজিয়ে নরম করে কেটে ফেললে সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে৷ নখের কোনা চামড়ার ভিতরে বাড়লে, মরা চামড়া জীবাণুমুক্ত কাঁচি দিয়ে কেটে এমন করা উচিত, যাতে তা আস্তে আস্তে বাইরে বেরিয়ে আসে৷ তার পর পুরো নখ সমান ভাবে কাটার নিয়ম৷ তা না করে সরু কাঁচি ঢুকিয়ে নখের কোনা কেটে দিলে সংক্রমণ হতে পারে৷ সামান্য কিছু ক্ষেত্রে সেখান থেকে পুরো পায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে জটিল পরিস্থিতি হতে পারে৷
দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসে ভুগলে পায়ে সাড় কমে যায়। তাই গরম জলে পা ডোবানো বা ঝামা দিয়ে ঘষার সময় মাত্রা রাখতে না পারলে কেটে–ছড়ে গিয়ে বড় বিপদ হতে পারে৷
এই কম সাড়ওয়ালা পা কেটে–ছড়ে গেলে বা ঘা হলে তা সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন৷ বাড়াবাড়ি হলে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে৷ কাজেই মূল রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি পায়ের যত্ন করা দরকার৷ কী ভাবে করবেন, দেখে নিন৷
পায়ের যত্নবাইরে থেকে ফিরে পায়ের তলা পরীক্ষা করে দেখুন৷ কোনও রকম কাটা-ছড়া বা প্রদাহ দেখতে পাচ্ছেন কি না দেখুন। নিজে না পারলে বাড়ির কাউকে বলুন৷ পায়ের নীচে ছোট আয়না ধরেও দেখতে পারেন৷ শোওয়ার আগে হালকা গরম জল ও শ্যাম্পু দিয়ে পা পরিষ্কার করে, শুকনো করে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান৷ আঙুলের খাঁজ যেন শুকনো থাকে৷ পায়ের তলা ঘামার ধাত থাকলে আঙুলের খাঁজে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন না৷

পেডিকিওর করানোর সময় সজাগ থাকতে হবে আপনাকেই।
ডায়াবিটিক রোগী কখনও খালি পায়ে হাঁটবেন না৷ মোজা ছাড়া জুতো পরবেন না৷
সেলাই না করা মোজা পরবেন৷ কারণ সাড় কমে যায় বলে পা কেটে গেলে বা ফোস্কা
পড়লে টের পাবেন না৷ সেখানে ময়লা লেগে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে৷ পায়ের নখ সোজা
করে কাটুন৷ নখের কোণা চামড়ার মধ্যে ঢুকে গেলে নিজে কিছু না করে বা
পার্লারে না কাটিয়ে পায়ের বিশেষজ্ঞ বা পোডিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিন৷ঠিক মাপের জুতো পরুন৷ না হলে ফোস্কা পড়তে পারে৷ বিকেলের দিকে পা ফুলে যায় বলে জুতো ওই সময়ই কিনুন৷ সকালে কিনলে বিকেলে ওই জুতো পায়ে টাইট হবে৷
মনে রাখুন কিছু বাড়তি সতর্কতা
- পা কেটে গেলে বা ফোস্কা পড়লে ভাল করে ড্রেসিং করুন৷
- ডায়াবিটিক কিডনি ডিজিজ থাকলে যেখানে–সেখানে পেডিকিওর করাবেন না৷
- বছরে একবার পোডিয়াট্রিস্টের কাছে পায়ের চেক আপ করাতে যান৷
পার্লারের যন্ত্রপাতি পরিশোধিত না হলে বা যিনি করবেন তাঁর ট্রেনিং না থাকলে কিছু সমস্যা হতে পারে৷ তাই লক্ষ্য রাখুন সে সব দিকেও। পায়ের কড়া বা শক্ত চামড়া গরম জলে ভিজিয়ে নরম করে কেটে ফেললে সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে৷ নখের কোনা চামড়ার ভিতরে বাড়লে, মরা চামড়া জীবাণুমুক্ত কাঁচি দিয়ে কেটে এমন করা উচিত, যাতে তা আস্তে আস্তে বাইরে বেরিয়ে আসে৷ তার পর পুরো নখ সমান ভাবে কাটার নিয়ম৷ তা না করে সরু কাঁচি ঢুকিয়ে নখের কোনা কেটে দিলে সংক্রমণ হতে পারে৷ সামান্য কিছু ক্ষেত্রে সেখান থেকে পুরো পায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে জটিল পরিস্থিতি হতে পারে৷
দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসে ভুগলে পায়ে সাড় কমে যায়। তাই গরম জলে পা ডোবানো বা ঝামা দিয়ে ঘষার সময় মাত্রা রাখতে না পারলে কেটে–ছড়ে গিয়ে বড় বিপদ হতে পারে৷
পায়ে ঘা হলে
- প্রথম অবস্থায় নর্মাল স্যালাইনে ঘা ধুয়ে জীবাণুমুক্ত গজে জায়গাটা ঢেকে রাখুন৷
- ঘা না শুকানো পর্যন্ত একটু কম চলাফেরা করলে ভাল৷
- প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক খান৷
- বড় ঘায়ে বিশেষ ধরনের ডায়াবেটিক জুতো পরতে হতে পারে৷
- ঘা না শুকোলে, পা ফুলে গেলে, পা–আঙুল বা নখের রং বদলে গেলে, পা স্বাভাবিকের তুলনায় ঠান্ডা বা গরম হলে তা বিপদের লক্ষণ৷
ডায়াবিটিক জুতো
এর ইন সোল সাধারণ জুতোর চেয়ে ৮–১০ মিমি মোটা থাকে৷ ফলে পায়ের তলার চাপ ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রেশার পয়েন্টে ঘায়ের সুযোগ কমে যায়৷ জুতোর টো–বক্স বেশ চওড়া রাখুন, যাতে আঙুলে চাপ পড়ে না৷ হিল কাউন্টার যেন শক্ত ও উঁচু হয় যাতে ড্রেসিং-সমেত পা এতে ঢুকে যায়৷ জুতোয় ভেলক্রো লাগানো থাকলে ভাল হয়। তা হলে পা ফুলে গেলে জুতো ঢিলে করা যায়৷
এর ইন সোল সাধারণ জুতোর চেয়ে ৮–১০ মিমি মোটা থাকে৷ ফলে পায়ের তলার চাপ ছড়িয়ে পড়ে৷ প্রেশার পয়েন্টে ঘায়ের সুযোগ কমে যায়৷ জুতোর টো–বক্স বেশ চওড়া রাখুন, যাতে আঙুলে চাপ পড়ে না৷ হিল কাউন্টার যেন শক্ত ও উঁচু হয় যাতে ড্রেসিং-সমেত পা এতে ঢুকে যায়৷ জুতোয় ভেলক্রো লাগানো থাকলে ভাল হয়। তা হলে পা ফুলে গেলে জুতো ঢিলে করা যায়৷
সুজাতা মুখোপাধ্যায়
কলকাতা|
১৩ মার্চ , ২০১৯, ১৫:৪৫:২৬
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ , ২০১৯, ১৫:৪৩:০৮
অানন্দ বাজার পত্রিকা
Sunday, January 20, 2019
ইউকে তে হাসপাতালে ডায়াবেটিস ফুটকেয়ার চিকিৎসা
Fighting for diabetes foot care in UK hospitals
ডায়াবেটিস ভয়েস - ইয়ান পাইটরোস্কি এমপিদেরকে তাদের এলাকায় ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-(এনএইচএসের) সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে প্রতিরোধ যোগ্য অঙ্গহানি এড়ানো যায় ।
সরকারী নির্দেশিকা স্পষ্টভাবে বলে যে ডায়াবেটিসযুক্ত প্রত্যেককে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথেই তাদের পায়ে পরীক্ষা করা উচিত, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক তৃতীয়াংশের চেয়ে কম লোক ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলিতে এই গুরুত্বপূর্ণ চেকগুলি পান।
প্রতিটি চেক মিস একটি সম্ভাব্য পঙ্গুত্ব প্রতিরোধ করার জন্য একটি সুযোগ মিস হতে পারে।
ডায়াবেটিস ভয়েস ইয়ান, যিনি বেশ কয়েকটি পদাঙ্গুলি হারিয়েছেন করেছেন, তিনি সংসদে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন কেন সংসদ সদস্যদের ডায়াবেটিস পায়ে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ? ইয়ান ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে, তার অঙ্গহানির সময় যে পরিস্থিতি হয়েছিল তা যেন অন্যদের না হয় ।
প্রতিদিন ২০ টি অঙ্গহানি হয়, যার মধ্যে চার পাঁচটি প্রতিরোধযোগ্য, তিনি সাংসদদের বলেন যে আমরা যা করতে পারি, তা হল আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে যেন কম সংখ্যক মানুষ ডায়াবেটিস থেকে তাদের অঙ্গ হারায়।
দেশের প্রায় ১০০ টি ডায়াবেটিস ভয়েসেস তাদের সাংসদকে হাসপাতালে ডায়াবেটিক ফুটকেয়ার এর বিশেষ সংসদীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলেছে, যার মধ্যে ২0
জন আসনের সাংসদ আসছে। যদিও এমপিরা ইয়ান থেকে শুধুমাত্র একটি অঙ্গহানির বাস্তবতা সম্পর্কে শোনবেন না, অধিকন্তু তাহারা তাদের এলাকার হাসপাতালগুলি কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে
তার স্থানীয় তথ্য ও পেয়েছে।
ইয়ান ব্যাখ্যা করেছেন, "আমি এমপিদের সাথে আমার গল্প ভাগ করে নেওয়ার জন্য ক্ষতিকর অঙ্গহানির গুরুত্ব তুলে ধরতে সত্যিই আগ্রহী ছিলাম।" "আমি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি যাতে তা অন্যরা এড়াতে পারে তার জন্য অন্যদের সাহায্য করতে চাই।"
ডায়াবেটিস ইউকে পার্লামেন্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যাতে হাসপাতালে ডায়াবেটিসের আক্রান্ত অধিক সংখ্যক লোককে জরুরিভাবে পা পরীক্ষা করা হয় ।আমরা তাদের স্থানীয় হাসপাতালের সাথে কাজ করার জন্য এমপিদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম যাতে তারা আরও বেশি পায়ের চেক পায়।এটা প্রতিরোধযোগ্য অঙ্গহানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস
করতে একটি অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ বলে গন্য হবে।
ইব্রাহিম ডায়াবেটিক ফুট কেয়ার হাসপাতাল ।
বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত ডায়াবেটিক ফুটকেয়ার হাসপাতাল ।
ডায়াবেটিক ফুট কেয়ার।
আমাদের শরীরের অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ পা। পা ছাড়া মানুষ অচল। সব সময় পায়ের যত্ন নিতে হবে। সঙ্গত কারণেই ডায়াবেটিস রোগীকে পায়ের আরও বেশি যত্ন নিতে হবে ।
‘ডায়াবেটিক ফুট : এটি একটি ডায়াবেটিস রোগজনিত পায়ের জটিলতা। এ রোগে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটার প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে ৮৪ শতাংশ হলো ডায়াবেটিক পা। ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে আঘাত লাগলে বা ক্ষত হলে সেখানে ক্ষুদ্র রক্তনালির বিকাশ, এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স, ত্বক ইত্যাদির বৃদ্ধি ধীরগতিতে হয়। ফলে ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং ক্ষত শুকাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে দুর্গন্ধযুক্ত পচন (গ্যাংগ্রিন) ধরে যায়। রোগীর জীবন রক্ষার্থে অনেক সময় পা বা পায়ের কিছু অংশ কেটে বাদ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিক রোগীর পায়ের যত্নঃ (Foot care for Diabetic Patients)
– অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন না, এতে পায়ের পাতা বা কোনও অংশ পুড়ে গেলে বা ফোস্কা পড়লেও পায়ের অনুভুতি কম থাকার কারনে বোঝা যায় না। তাই গরম পানি ব্যবহার করার সময় নিজে না দেখে ডায়াবেটিস নেই এমন কাউকে দিয়ে দেখতে হবে পানি বেশী গরম কিনা।
– হিটার বা আগুনের খুব কাছে বসবেন না, এতে অজান্তে পা পুড়ে যেতে পারে।
– পায়ে বেশী গরম পানির সেক দিবেন না, এতে ফোস্কা পড়তে পারে।
– ঘুমানোর সময় বিছানায় গরম পানির বোতল, বৈদ্যুতিক কম্বল ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
– পায়ে যে কোনও ধরনের আঘাতের সম্ভাবনা এরিয়ে চলবেন। যে সব খেলা ধুলায় পায়ে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে, সে সব খেলা ধুলা পরিহার করতে হবে। এবড়ো-থেবড়ো রাস্তা দিয়ে না হেঁটে ভালো রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চেষ্টা করবেন। ভিড়ের মধ্যে হাঁটার সময় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার পায়ের উপর অন্য কারও পায়ের পাড়া না পরে।
– ঘরে সবসময় কাপড়ের জুতা বা নরম রাবারের জুতা পড়বেন। নরম স্পঞ্জের স্যান্ডেল পড়তে পারেন। তবে স্যান্ডেল না পড়াই ভালো, কারণ, ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের অনুভুতি কম থাকার ফলে পা থেকে স্যান্ডেল খুলে গেলেও তারা বুঝতে পারেন না।
– বাইরে বের হলে অবশ্যই ডায়াবেটিক জুতা-মোজা পরে বের হবেন। জুতা পড়ার সময় জুতার ভিতর ঝেড়ে নিতে হবে যেন ভিতরে কোন ইট, লোহা বা কোন কিছুর টুকরা না থাকে।
– গোসলের পর নখ কাটবেন, এসময় নখ নরম থাকে এবং সহজে কাটা যায়।
– নখ সব সময় সোজা করে কাটবেন, গভীর করে নখ কাটবেন না, নখের কোণা কাটবেন না।
– শেভিং ব্লেড দিয়ে নখ না কেটে নেইল কাটার দিয়ে সব সময় নখ কাটবেন। না হলে নখ বেশী কাটা হয়ে যেতে পারে এবং আঙ্গুলের চামড়া বা মাংশে ক্ষত সৃস্টি হতে পারে।
– পায়ের উপর পা রেখে বসা বা ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে পায়ে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
– পায়ের কড়া বা নখকুনী থাকলে নিজে নিজে তা কাটতে যাবেন না। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
– ধাতব কোনও বস্তু দিয়ে নখের নীচ পরিস্কার করবেন না।
– নখ কাটতে ব্যথা অনুভব করলে অথবা রক্ত বের হলে আপনার চিকিৎসকের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
– সম্ভব হলে প্রতিদিন আপনার পায়ের তলা, পায়ের আঙ্গুল, আঙ্গুলের ফাঁক পরীক্ষা করুন। এজন্য আয়না ব্যবহার করতে পারেন অথবা অন্য কাউকে দেখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করুন।
– পায়ে নিয়মিত ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার মাখতে পারেন। কিন্তু পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে মাখবেন না।
– বৃস্টির পানিতে পা ভেজাবেন না।
– শীত কালে রাতে ঘুমানোর সময় ঢিলা মোজা পরে ঘুমান।
– পা ফাটা থাকলে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নিজে নিজে কোনও চিকিৎসা করবেন না।
– দীর্ঘ সময় জুতা-মোজা পড়ার প্রয়োজন হলে ২ ঘণ্টা পর পর কিছু সময়ের জন্য জুতা-মোজা খুলে আবার পড়বেন। সম্ভব হলে কয়েক জোড়া জুতা-মোজা কিনে রাখবেন। প্রতিদিন একই জুতা না পরা ভালো।
– ভেজা পায়ে জুতা-মোজা পড়বেন না। ভেজা মোজা পড়বেন না।
– ভেজা পা আলাদা তোয়ালে দিয়ে চাপ দিয়ে চাপ দিয়ে মুছবেন, কখনই ঘষে ঘষে মুছবেন না।
ডায়াবেটিক জুতা ও মোজাঃ
সঠিক আকার ও সাইজের চামড়ার জুতা কিনতে হবে, যাতে জুতা টাইট বা বেশী ঢিলা না হয়। সম্ভব হলে অর্ডার দিয়ে জুতা বানিয়ে নিতে পারেন। সমান তল ও মোটা সোল বিশিষ্ট জুতা সব চেয়ে ভালো। জুতার সামনের অংশ চওড়া হতে হবে যাতে পায়ের আঙ্গুলগুলোর উপর চাপ না পরে। সামনের অংশ চিকন – এ ধরণের জুতা পড়বেন না। উঁচু হিলের জুতা বর্জন করুন। জুতা কিনবেন বিকাল বা সন্ধ্যার সময়। কারন এ সময় পায়ের মাপ সর্বোচ্চ থাকে। মোজা কিনবেন সুতী দেখে। মোটা মোজা পরিধান করা উচিৎ। মোজা পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন মোজা কোথাও ছেঁড়া না থাকে। প্রতিদিন ধোয়া ও শুকনা মোজা পড়বেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)