Thursday, August 1, 2024

ডায়াবেটিক রোগীরা বাড়িতে রক্ত পরীক্ষার সময়ে কোন কোন নিয়ম মেনে চলবেন?

 নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করার পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবিটিস থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। রোজ ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা করালে খরচ বাড়ে। ভোগান্তিও হয়। সে কারণে অনেকেই এখন বাড়িতে গ্লুকোমিটারের পরীক্ষা করছেন রক্তের শর্করার মাত্রা। কিন্তু জানেন কি, এ ক্ষেত্রে কিছু ভুল পদক্ষেপের জন্য আসতে পারে ভুল ফলাফল? যা থেকেই চরম সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।

১) প্রতি বার গ্লুকোমিটার ব্যবহার করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তার পর হাত মুছে রক্তের প্রথম ফোঁটাটি নিতে হবে। হাতে কিছু লেগে থাকলেই ফলাফল ভুল আসতে পারে।

২) অনেক রোগী একই সূচ পাঁচ থেকে ছ’বার ব্যবহার করেন। এটি সংক্রমণের সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩) যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়াও দরকার। ভাল মানের যন্ত্র কেনা, নির্দিষ্ট সময় পরপর তার পরিমাপের নির্ভুলতা পরীক্ষা করা, ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখা, প্রতি বার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি ‘রিসেট’ করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। খুব বেশি ঠান্ডা জায়গায় যন্ত্রটি রাখবেন না। সূর্যের তাপ যেন যন্ত্রের উপর না পড়ে সে দিকেও নজর রাখবেন।

৪) সুচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করলে যথেষ্ট ব্যথা হয়। অনেকেই আঙুলের একেবারে ডগায় সূচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন। সে ক্ষেত্রে ব্যথা আরও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এক পাশে পরীক্ষা করলে ব্যথা খানিকটা হলেও কম হয়। প্রতি দিন একই আঙুলে পরীক্ষা না করে বিভিন্ন আঙুলে পরীক্ষা করুন।

৫) প্রত্যেক দিনের ফলাফল এক জায়গায় লিখে রাখা খুব জরুরি। সেই তালিকা দেখেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, আপনার শরীরে ওষুধ আদৌ কাজ করছে কি না। এ ছাড়া ঠিক কোন খাবার খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে, তা-ও জানতে পারবেন এই তালিকা থেকে।

৬) কেবল সকালে খালি পেটে কিংবা খাবার দু’ঘণ্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করলে চলবে না। দিনের বিভিন্ন সময়ে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কতখানি তা-ও জানা দরকার।


Sunday, June 6, 2021

সামান্য মদপানেও মস্তিষ্কের ক্ষতি : গবেষণা

 সামান্য মদপানেও মস্তিষ্কের ক্ষতি : গবেষণা

·           b    নয়া দিগন্ত অনলাইন

 

·               ২০ মে ২০২১, ১৪:৪৩

 

মদপানের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে মদপানের প্রচলন যত বাড়ছে ততই মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের পরিচালিত এই গবেষণার প্রতিবেদন গত ১২ মে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষণার জন্য তারা ব্রিটেনের ২৫ হাজার মদ পানকারী ব্যক্তির মস্তিস্কের মেডিক্যাল স্ক্যান পর্যালোচনা করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ক্লিনিকাল রিসার্চার আনিয়া টোপিওয়ালার মতে, গবেষকরা দেখেন যে মদপান করার ফলে মস্তিষ্কের ধূসর অংশের ক্ষতি হয়। মস্তিষ্কের এই অঞ্চল একটি অতি গুরত্বপূর্ণ অংশ, এখানে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রস্তুত হয়।

আনিয়া টোপিওয়ালা বলেন, ‘মানুষ যত মদপান করে ততই তাদের মস্তিষ্কের ধূসর অংশের পরিমান কমে যায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসে এবং আরো মারাত্মক অবস্থায় ব্যক্তির স্মৃতিভ্রংশ দেখা দেয়। মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে গেলে স্মৃতির পরীক্ষায় তার কর্মক্ষমতা দুর্বল হয়।'

টোপিওয়ালা বলেন, 'যদিও এতে অ্যালকোহলের প্রভাব সীমিত (শূণ্য দশমিক আট ভাগ), তথাপি অন্য পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকি থেকে এর প্রভাব বেশি।'

বয়সের বাড়ার বিপরীতে অন্য কোনো কারণে মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসা ও স্মৃতিভ্রংশ তৈরি হওয়াকে 'পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকি' হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যে কোনো ধরনের মদপান মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। বিভিন্ন প্রকার মদ, পান করার ধরন ও অন্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা মদপানে মস্তিষ্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ কোনো 'মদ' গবেষকরা খুঁজে পাননি। ওয়াইন, স্পিরিট বা বিয়ার, সব ধরনের মদই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

অপরদিকে অল্প মদপানেও পানকারী মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন না।

চিকিৎসা সাময়িকী দ্যা ল্যানসেটে ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে মদপানের কারণে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন মানুষ মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছেন। মদ বিভিন্ন রোগের সূচনা করে। এর ফলে পানকারীর অকাল মৃত্যুর বিপুল ঝুঁকি থাকে।

এতে বলা হয়, ২০১৬ সালে সারাবিশ্বে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের মদপানের কারণে মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের মাদক বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক স্যাডি বনিফেস বলেন, 'বছরের পর বছর মনে করা হতো যে বেশি মদ পানেই মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। এখন সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মদপানের নিরাপদ কোনো মাত্রা নেই, অল্প মদপানও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। আসলে মদ শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গকে ক্ষতি করে আর বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে।'

সূত্র : সিএনএন

 

 

 

 

 

 

 

Saturday, November 21, 2020

 ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রতে মানতে পারেন এ ফর্মুলা:

১. প্রতিদিন বাদাম খাওয়া জরুরী
২. কার্বোহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে
৩. প্রতিদিন অবশ্যই বার্লি খেতে হবে
৪. ভিটামিন ডি এর ঘাটতি যেন না হয়
৫. প্রতিদিন হাটতে হবে
৬. ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে
৭. মেথি খাওয়া জরুরী
৮. সবুজ শাক সব্জি
৯. অ্যালোভেরা সঙ্গে হলুদ
১০. প্রতিদিনের ডায়েটে ফল থাকতে হবে
১১. দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি খেতে হবে


Sunday, March 15, 2020

ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের জটিলতা সমূহ



ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের জটিলতা সমূহঃ

১. ত্বক পরিবর্তন (Skin Change) যে স্নায়ুগুলো পায়ের পাতার তৈলাক্ততা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, ডায়াবেটিক রোগীদের সেই স্নায়ুগুলো কাজ করেনা । তাই পায়ের পাতার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পায়ে ফাটল ধারে ।
২. দুর্বল রক্ত সঞ্চালন (Poor blood circulation ) ডায়াবেটিস রক্তনালীকে সংকীর্ণ করে দেয় । দুর্বল রক্ত প্রবাহের জন্য ইনফেকশন বা জীবানু সংক্রমন প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে যায় ।

৩. নিউরোপ্যাথি  (Neurapathy) এটি এক ধরনের স্নায়ুরোগ যেখানে ডায়াবেটিক রোগীদের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হবার কারনে তারা ঠান্ডা বা গরম এবং পায়ে ব্যাথা অনুভব করে না । এই সংবেদনশীলতা হারানোর ফলে ছোট-খাটো আঘাতও বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে ।

৪. ক্যালাস (Callus) পায়ের তালুর ত্বক শুষ্কতার জন্য শক্ত হয়ে গিয়ে ক্যালাস গঠন করে । আর এই ক্যালাস থেকে পায়ের আলসার ও হতে পারে ।

৫. ডায়াবেটিক ফুট আলসার (Diabetic foot ulcer) ফুট আলসার হল ঘা বা ক্ষত যা সাধারনত যা রক্তসঞ্চালনের সমস্যার জন্য ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের নিচে হয় । আলসার নিরাময়ের পরেও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে আবার আলসার হতে পারে ।

৬. ডায়াবেটিক ফুট ইনফেকশন (Diabetic foot infection) ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের আলসারের সময়মত চিকিৎসা না হলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে এবং পায়ের ইনফেকশন হতে পারে ।


৭. অ্যাম্পুটেশন ( Amputation/অঙ্গচ্ছেদ) রক্তসঞ্চালনে সমস্যা, সংবেদনশীলতা কমে যাওয়া এসব কারনে ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে আলসার এবং ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে । সময়মত সঠিক চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমন অঙ্গহানি বা অ্যাম্পুটেশন এর কারণ হতে পারে ।